বলিউডের হিন্দি এবং টলিউডের বাংলা ছবির জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন বাঙালি ললনা তনুজা। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন মেয়ে কাজল। তনুজা তনয়া নিজের প্রাণবন্ত অভিনয়ের পাশাপাশি শ্যাম বর্ণ রূপ দিয়েও জয় করেছিলেন হিন্দি ছবির দর্শক হৃদয়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৯২ সালে বেখুদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কাজলের বলিউডে ডেব্যু হয়। কিন্তু তাকে দ্রুত পরিচিতি এনে দেয় ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া বাজিগর ছবিটি। বলা যায় বাজিগর দিয়ে বলিউড বাজিমাত করেন কাজল। পরবর্তীতে ৯০ এর দশকে দর্শকদের একের পর এক হিট – সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন কাজল। তবে ক্যারিয়ারের দিক থেকে সাফল্য পেলেও নিজের শ্যামলা গায়ের রঙের কারণে কম সংগ্রামের মুখে পড়তে হয়নি তাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বলেন ডিডিএলজি খ্যাত সিমরানরূপী এই তারকা।নায়িকা।ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, এক চ্যাট শো’তে কাজলকে বলতে শোনা গেছে, সেইসময় অনেকেই তাকে ‘মোটা’, ‘কালো’ বলে ডাকতো। এমন একজন যে সারাক্ষণ চশমা পরে থাকে। যদিও এসব নিয়ে খুব একটা ভাবতেন না তিনি। কারণ মনে মনে জানতেন তিনি কুল, স্মার্ট। আর সবমিলিয়ে তাকে নিয়ে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছে তাদের থেকে অনেক ভালো তিনি। ওই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, কাজলকে নিজের গায়ের রঙকে ভালোবাসতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিলো। তিনি যে প্রকৃতই সুন্দরী এটা বিশ্বাস করতেও সময় লেগেছিলো। কাজলের কথায় ৩২-৩৩ বছর বয়সে গিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিজে বলা শুরু করেন তাকে যথেষ্ট সুন্দর দেখতে। তিনি আরও জানান, এরপর থেকে নিজেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। কাজলের কথায় – ওই যে সবাই বলে তুমি ততক্ষণ দেখনদারি করবে যতক্ষণ না তুমি বিশ্বাস করবে এবং অবশেষে তুমি এটা করতে পারবে। পুরো বলিউডে কানাঘুষা রয়েছে ত্বক ফর্সা করার সার্জারির সাহায্য নিয়েছেন কাজল। যদিও সে দাবি আগেই নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিয়ে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন সূর্যের তাপের বাইরে আছেন। একসময় টানা সূর্যের নীচে কাজ করেছিলেন, যা তাকে ট্যান করে দিয়েছিলো। তবে বর্তমানে তিনি সূর্যের থেকে দূরে থাকায় গায়ের রং একটু বিবর্ণ লাগে। ৪৮ বছরে পা দিয়েও যেনো এভারগ্রীন কাজল। অভিনেতা অজয় দেবগনের পত্নী কাজলকে দেখে মনে হওয়ার অবকাশ নেই যে তিনি দুই সন্তানের মা। বয়স যতোই বাড়ছে ততোই বাড়ছে তার গ্ল্যামার। একইসঙ্গে দুর্দান্ত দাপটে করে চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনয়ও।
তুষার আদিত্য
