স্মরণ: স্বনামধন্য অভিনেত্রী মধুবালা

মধুবালা। উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রে ভালোবাসার আরেক নাম। ভালো নাম মমতাজ জাহান বেগম দেহলভী। শিশু শিল্পী হিসেবে বেবি মমতাজ নামে তিনি অভিনয় করেন, ১৯৪২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বসন্ত’ ছবিতে। প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও প্রযোজক দেবিকা রাণী তার পর্দা নাম রাখেন মধুবালা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি রাজকাপুরের বিপরীতে নায়িকা হন “নীলকমল’ ছবিতে। অভিনয়ে, মুখশ্রীতে, অবয়বে, অভিব্যক্তিতে যেন ভালোবাসার মধু মাখানো ছিলো। শুধু উপমহাদেশেই বা বলি কেন, বিশ্বের যে কোন যুবক তাঁর মুখশ্রী আর ভুবন জয়ী হাসি দেখে, হৃদয়ে মোচড় খেতে পারেন। সমসাময়িক নায়িকা নার্গিস এবং মীনা কুমারীর পাশাপাশি তাকে হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হতেন মধুবালা। বলা হয়ে থাকে মুম্বাই চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সর্বাধিক সুন্দরী ও আকর্ষণীয় নায়িকা। জন্ম থেকেই হৃৎপিণ্ডে ফুটো ছিলো তার। ভেন্ট্রিকুলার সেফটাল ডিফেক্ট।তখন ভারতে সে সময় এর কোন চিকিৎসা ছিলোনা। চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন খুব বেশি দিন বাঁচবেন না মধুবালা। বেঁচে থাকার আকুতি আর এগিয়ে আসা মৃত্যু যন্ত্রণা নিয়েই ৭০ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন, ৩৬ বছর বয়সে, অকালপ্রয়াত এই নায়িকা। মনের গহীনে যন্ত্রণা নিয়েও পর্দায় ভালোবাসার অভিনয়, নাচ আর অভিব্যক্তি দিয়ে কোটি কোটি দর্শকের মনে আসন গেড়ে নিয়েছেন। ‘মুঘল ই আজম’ মধুবালার সেরা ছবি হিসেবে উল্লেখিত হয়। উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রে ভালোবাসার প্রতীক মধুবালা ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শুভেচ্ছা আর একরাশ ভালোবাসা এই অকাল প্রয়াত নায়িকার প্রতি।

মুজতবা সউদ